সর্বশেষ আপটেড

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ

এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে দেয়া হয়েছে। পাঠকদের জন্য ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার তৃতীয় সপ্তাহের হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র এসাইনমেন্ট ও সমাধান এবং এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

মূল্যায়নের ধারাবাহিকতায় প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্ট এর মধ্যে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের এটি দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা

দেশের সকল সরকারি বেসরকারি কলেজসমূহের ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট নেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা থেকে।

এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের গুরুত্ব বিশ্লেষণ এবং ব্যাংক ব্যবসায় প্রকৃতি ও ত্বরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নিচের ছবিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো

বিষয়ঃ ফিন্যান্স, ব্যাংক ও বীমা ২য় পত্র, অ্যাসাইনমেন্ট নং-০২, অধ্যায় ও শিরোনামঃ ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা

অ্যাসাইনমেন্টঃ বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি): 

বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা করতে হবে।

সেক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলাে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:

ক. ব্যাংকের ধারণা।

খ. ব্যাংক ব্যবসায়ের প্রকৃতি।

গ. ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগ।

ঘ. অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ তৃতীয় সপ্তাহের ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

ফিন্যান্স,  ব্যাংকিং ও বীমা দ্বিতীয় পত্রের ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে উল্লেখিত নির্দেশনা সমূহ এবং মূল্যায়ন সমূহ যথাযথ অনুসরণ করে তোমাদের জন্য বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা প্রস্তুত করে দেওয়া হলো। 

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ

ব্যাংকের ধারণা

ব্যাংক (অপর বানান: ব্যাঙ্ক) হল এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে পুঁজি গড়ে তোলে এবং সেই পুঁজি উদ্যোক্তাদের ঋণ বা বিনিয়োগ হিসেবে প্রদানের মাধ্যমে লাভ বা মুনাফা অর্জন করে। ব্যাংক আমানত ও ঋণ সেবার বাইরেও বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। আধুনিক পুজিঁবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংক একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচ্য। দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল ও কার্যকর রাখতে ব্যাংকের ভূমিকা অপরিসীম।

মধ্যযুগের ইংরেজি হিসেবে ব্যাংক (Bank) শব্দটি বিভিন্ন ভাষা থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে শব্দটি কবে, কোথায় এবং কিভাবে উৎপত্তি হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ দ্বাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত ব্যাংকিং ইতিহাসের কোনো সঠিক ও ধারাবাহিক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হইনি। যতটুকু সংগ্রহ করা হয়েছিল তা অনেকটা অনুমান ভিত্তিক। অনেকে মনে করেন প্রাচীন লাতিন ব্যাংকিং, ব্যাংকা, ব্যাংকাস ইত্যাদি শব্দের আধুনিক রুপই হলো আজকের ব্যাংক শব্দটি।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ

ব্যাংক শব্দটি উৎপত্তি সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত মতবাদ হচ্ছে, রেনেসাঁ যুগে ইটালীর লোম্বার্ডী (Lombardy) নামক স্থানে অবস্থিত বাজারের মধ্যে ইহুদী ব্যবসায়ীগণ লম্বা বেঞ্চ পেতে টাকা পয়সার লেন্দেন করত। বেঞ্চের উপরিভাগ সবুজ টেবিলক্লথ দিয়ে ঢাকা থাকতো। এ বেঞ্চকে ইটালীর ভাষায় ব্যাংকো (Banco) বলা হতো।

টাকা পয়সা লেনদেনের কাজ যে বেঞ্চে বসে সম্পন্ন করা হতো তার বিভিন্ন আঞ্চলিক নাম ছিল যথাঃ ব্যাংকো, ব্যাংকা, ব্যাংকাছ ইত্যাদি। এ শব্দগুলোর মধ্যে ব্যাংকো শব্দটিই সর্বাধিক প্রচলিত ছিল। পরবর্তীকালে এ ব্যাংকো হতেই ব্যাংক শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। কোন ব্যবসায়ী তার পাওনাদারদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে জঙ্গণ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীর বেঞ্চ ভেঙে ফেলত। এ বেঞ্চ ভাঙ্গা থেকে ‘দেউলিয়া’ শব্দের উৎপত্তি হয়। ব্যাংক ইংরেজি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ নদীর কূল, তীর বা কিনারা হলেও বর্তমানে ব্যাংককে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গন্য করা হয়।

ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রীয় সঞ্চয়, লেনদেন ইত্যাদির গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় সঞ্চিত অর্থ জমা রাখে এবং ঐ অর্থ ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানে ঋণ বা বিনিয়োগ হিসেব প্রদান করে তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদান্তে গ্রাহকের জমাকৃত অর্থের উপর সুদ বা মুনাফা প্রদান করে।

ব্যাংক ব্যবসায়ের প্রকৃতি

আমাদের দেশে এখন ব্যাংকিং ব্যবসা অত্যন্ত সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যবসাটি এতই সরল এবং সহজবোধ্য হয়ে গেছে যে ৪০০ কোটি টাকা মূলধন জোগাড় করতে পারলেই যে কেউ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ব্যাংকিং ব্যবসার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৫ এর ত উপধারা অনুযায়ী “ব্যাংক ব্যবসা” অর্থ কর্জ প্রদান বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের নিকট হইতে টাকার এইরূপ আমানত গ্রহণ করা, যাহা চাহিবামাত্র বা অন্য কোনভাবে পরিশোধযোগ্য এবং চেক, ড্রাফ্‌ট, আদেশ বা অন্য কোন পদ্ধতিতে প্রত্যাহারযোগ্য।

সাধারণত ব্যাংকের কার্যাবলীকে ব্যাংকিং হিসেবে অবিহিত করা হয়। ব্যাংকসমূহ সময়ের সাথে সাথে গ্রাহক চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা বা পরিষেবা দিয়ে আসছে। সচারচার ব্যাংক নিন্মক্ত ব্যাংকিং সেবাসমূহ দিয়ে থাকেঃ

  • খুচরা ব্যাংকিং-ব্যক্তি এবং ছোট ব্যবসায়ে পদত্ত ব্যাংকিং সেবা;
  • ব্যবসায় ব্যাংকিং- মাঝারী ব্যবসায়ে পদত্ত ব্যাংকিং সেবা;
  • কর্পোরেট ব্যাংকিং- বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পদত্ত ব্যাংকিং সেবা;
  • বিনিয়োগ ব্যাংকিং- আর্থিক বাজার সম্পর্কিত ব্যাংকিং কার্যক্রম।


বেসরকারী উদ্যোগে গঠিত ব্যাংকসমুহের ব্যাংকিং কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা অন্যদিকে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দেয়া।

ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগ

ব্যাংকের মালিকানাভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ:

  • সরকারি ব্যাংক : সংগঠন, নিয়ন্ত্রক ও মালিক সরকার। যেমন- সোনালী ব্যাংক।
  • বেসরকারি ব্যাংক : ব্যক্তি মালিকানায় গঠিত। যেমন- পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক।
  • স্বায়ত্বশাসিত ব্যাংক : সরকারি বিশেষ আইনে গঠিত ও নিয়ন্ত্রিত। যেমন- কৃষি ব্যাংক, শিল্প ব্যাংক।
  • সরকারি বেসরকারি যৌথ মালিকানার ব্যাংক : ৫১% বা তার অধিক শেয়ার সরকারের, ৪৯% বা তার কম শেয়ার বেসরকারি। যেমন- রূপালী ব্যাংক।

ব্যাংকের সংগঠনভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ:

  • একমালিকানা ব্যাংক : যে ব্যাংকের মালিক ১ জন।
  • অংশীদারি ব্যাংক : ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইন দ্বারা প্রণীত, সদস্য ১-১০ জনের মধ্যে থাকতে হয়।
  • যৌথ কোম্পানি ব্যাংক : ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন এবং ১৯৯১ সালের ব্যাংকিং আইন দ্বারা গঠিত। যেমন- বাংলাদেশের সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক।
  • সমবায় ব্যাংক : সমবায় আইন দ্বারা গঠিত। যেমন- রাজশাহী কো-অপারেটিভ ব্যাংক।
  • রাষ্ট্রীয় ব্যাংক : যে ব্যাংকের মালিক রাষ্ট্র। যেমন- সোনালী ব্যাংক।

ব্যাংকের কাঠামোভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ:

  • একক ব্যাংকিং
  • শাখা ব্যাংকিং
  • চেইন ব্যাংকিং
  • গ্রুপ ব্যাংকিং
  • মিশ্র ব্যাংকিং

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণঃ

ব্যাংকিং ব্যবস্থা আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠুক কিন্তু সেটি বাংলাদেশে ৪০ বছরেও হয়নি। যেমন একজন শূণ্য আয়ের বেকার ব্যক্তির সাথে অপর একজন চাকুরীজীবি ব্যক্তির আয়ের গড় করলে তাতে বেকার ব্যক্তির অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না, কে বেকার তা বোঝা যায় না। ‘ট্রিকল ডাউন’ অথবা চুইয়ে পড়া তত্ত্ব দিয়ে নিচের তলার মানুষের উন্নতি করা সম্ভব নয়। লোকসংখ্যার আপেক্ষিক অনুপাতে দারিদ্রের হার গত দুই দশকে নিশ্চয়ই কমেছে, কিন্তু যথেষ্ট কমেনি।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কতটা বাড়লে দারিদ্র কতটা কমবে বলে প্রত্যাশা করা চলে, সে বিষয়ে অর্থনীতিতে একটি তাত্ত্বিক ধারণা ও পরিমাপের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি জাতীয় আয়ে এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়, তা হলে দেশে দারিদ্র কি অনেকখানি কমবে, না কি সামান্য কমবে? দেখা গিয়েছে এটা নির্ভর করে দেশের মানুষদের মধ্যে গোড়াতে অসাম্য কতখানি ছিল, তার উপর।

যদি বৈষম্য বেশি থাকে, তা হলে আর্থিক বৃদ্ধি হলে গোড়াতে যেটুকু বাড়তি সম্পদ আসে তা বড় মাছেরাই খেয়ে ফেলে দরিদ্রদের কাছে পৌঁছায় না। কিন্তু এর মানে এই নয় যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। প্রবৃদ্ধি না হলে প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান কোথা থেকে আসবে? কিন্তু শুধু প্রবৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়। ফলে আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুষম উন্নয়ন ও দরিদ্র বিমোচনের অন্তরায় হয়েছে। ব্যাংক হবে আর্থ সামাজিক ইনস্টিটিউশন কিন্তু তা হয়নি।

তাই, আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ক্রেডিটকে কৃষ্টির সাথে যোগ করা হয়নি। স্বেচ্ছাসেবক খাতে বিশাল সামাজিক পুঁজি উপেক্ষা করা হয়ছে। পাশ্চাত্য অর্থনীতির প্রভাবে ব্যক্তিনীতি ও ব্যক্তিস্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে আমাদের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং কর্মধারা। ব্যক্তি স্বার্থে উপেক্ষিত হয়েছে পরিবার ও সমাজ।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে বিকল্প অর্থনীতির প্রবর্তক সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক তার ত্রিমুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়নে আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক ও স্বেচ্ছামূলক খাতগুলোর এক অভিনব সমন্বয়ে সবুজ হাট প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ যুগ আগে ব্যাংকের চারশ’ পল্লী শাখা খোলার পরিকল্পনা নেয় তা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। পল্লী শাখা লাভজনক করতে হলে কেবল সুদ ভিত্তিক লেনদেনের মাধ্যমে তা সম্ভব নয়।

যদি পারস্পরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে পারিবারিক ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীর আওতায় পল্লী শাখা স্থাপন করা যায় তাহলে এগুলো লাভজনক হতে পারে। যারা এই মাইক্রো-ক্রেডিট কার্যক্রমে সফলতা লাভ করবে কেবল তাদেরকেই মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ লোনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পরে তাদের মুক্ত বাজারের সাথে যোগ করে দেয়া যায়। এর জন্য যে পরিকল্পনা ও বিকল্প চিন্তাধারা বা কমিটমেন্ট দরকার তার অভাবেই আজ আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুষম উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেনি।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে রাজস্ব পলিসি, মনিটরী পলিসি ও উন্নয়ন পলিসি অনুধাবনের মতো বিশেষজ্ঞ জ্ঞান খুবই জরুরী। এই জ্ঞান যে কেবল একজন আমলার বা একজন ব্যাংকারের মধ্যে থাকবে তা কিন্তু নয়। অর্থনীতির সঠিক বিশ্লেষণের জন্য বহুমুখী বিশেষ জ্ঞান প্রয়োজন, যা কোন এক ব্যক্তির পক্ষে ধারণ করা সম্ভব নয়। সম্ভব কেবল কাউন্সিল অফ গভর্নরস্ গঠনের মাধ্যমে।

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

তৃতীয় সপ্তাহে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের অন্যান্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান বা উত্তর

[ninja_tables id=”10246″]

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহে অন্যান্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট

বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তৃতীয় সপ্তাহে অন্যান্য নির্বাচনের বিষয়ে বাছাই করা সেরা উত্তর দেখার জন্য নিচে টেবিলটি অনুসরণ করুন- 

[ninja_tables id=”10239″]

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ